পর্তুগালের সংস্কৃতিতে এমন অনেক মজার ও অদ্ভুত রীতিনীতি আছে, যা অন্য কোথাও খুব কমই দেখা যায়। এই রীতিনীতিগুলো শুধু পর্তুগালের ঐতিহ্যকে ধরে রাখে নি, বরং মানুষের মধ্যে এক অনন্য সামাজিক বন্ধন ও আনন্দের মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে চলেছে।
১. ক্যাস্কারা দে ফেস্টা (Cascara de Festa)
পর্তুগালের একটি ছোট শহর ক্যাস্কারায় প্রতিবছর বসে এক বিশেষ ধরনের উৎসব, যেখানে গাছ থেকে নেমে ঝুলন্ত পোমেলো ফল বা বড় বড় লেবুর মতো ফল একে অপরের ওপর নিক্ষেপ করা হয়! ঐতিহ্যটি মূলত শত্রুদের দূরে রাখার জন্য শুরু হলেও এখন এটি শুধুই একটি মজার উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২. টোমাটিনা (Tomatina)
স্প্যানিয়ার্ডদের মত পর্তুগিজরাও মাঝেমধ্যে টোমাটিনার মতো রঙিন ও মজার উৎসবে অংশ নেয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ একে অপরকে টমেটো নিক্ষেপ করে। পর্তুগিজদের ধারণা এ ধরণের উৎসব তাদের মধ্যেকার বন্ধন আরো শক্তিশালী করে।
৩. সাঁও জন উৎসব (São João Festival)
পোর্তো শহরে প্রতি বছর জুনে সাঁও জন উৎসব হয়, যেখানে মানুষ একে অপরের মাথায় প্লাস্টিকের হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মারার রেওয়াজ পালন করে! পাশাপাশি আগুনের নিচ দিয়ে লাফানো ও রক গান পরিবেশনের আয়োজনও হয়।
৪. ড্রাগাউ (Dragão)
পর্তুগালে ড্রাগাউ বা রাস্তায় ‘ড্রাগন’ নামক একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা হয়। পুরানো কাগজ বা কাপড় দিয়ে তৈরি ড্রাগন ঘুরিয়ে নৃত্য ও অভিনয় করা হয়। উৎসবের দিনে উৎসবমুখর এলাকাগুলো বেশ রঙিন ও দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠে।
পর্তুগিজদের বিশ্বাস এই মজার ও অদ্ভুত উৎসবগুলো তাদের একঘেয়ে কর্মকালন্ত জীবনকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও অত্যন্ত উপভোগ্য করে তোলে। তাইতো প্রতিটা উৎসবের দিনগুলো তাদের কাছে নতুন আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। এই উৎসবগুলো না দেখলে পর্তুগালের সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য্য যে কত ব্যাপক হতে পারে তা ধারণা করাও যায় না।