জাপানে এমন একটি দোকান রয়েছে যেখানে সব কিছু সাজানো আছে — কিন্তু কিছুই বিক্রি হয় না! এই ব্যতিক্রমধর্মী দোকানটির নাম “মেমোরি থেরাপি শপ”। এখানে আপনি পুরনো ক্যাসেট, বই, ঘড়ি, ফোন, খেলনা এমনকি ছোট ছোট ঘরোয়া জিনিস দেখতে পাবেন। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, যতই পছন্দ হোক না কেন কিনতেতো আর পারবেন না!
দোকানটির প্রতিষ্ঠাতা ও কিউরেটরের নাম কেঞ্জিরো ওয়াদা (Kenjiro Wada)। তিনি জাপানের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড BEAMS-এর সঙ্গে যুক্ত একজন শিল্প-পরিকল্পক, যিনি মানুষের মনের ওপর পুরনো স্মৃতির প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন। দোকানটি জাপানের টোকিও শহরের হারাজুকুতে অবস্থিত।
এখন প্রশ্ন জাগে এধরণের দোকানের পিছনে উদ্দেশ্যটা কি? মেমোরি থেরাপি শপের মালিক বলেন মূল উদ্দেশ্য হল, মনের ক্লান্তি দূর করা, স্মৃতিকে ধুয়েমুছে সাফ করা। মানুষ এখানে আসেন, বসে থাকেন, জিনিসপত্র দেখেন, কিছু ধরেন, কিন্তু কোনো কিছু কেনার অনুমতি নেই।
এই “no-sale therapy store” প্রকৃতপক্ষে জাপানের আধুনিক সমাজে মানসিক স্বস্তি দেওয়ার এক অভিনব উপায়। অনেকেই বলেন, এই দোকানের পণ্য দেখলে তারা যেন কিছু সময়ের জন্য শৈশবে ফিরে যান।
শুনতে অদ্ভুত শোনালেও ক্রেতা কিংবা বলা ভালো দর্শনার্থীরাতো পছন্দ করছেন ব্যাপারটা। তাদের কথা সব দোকান থেকেইতো কেনাকাটা করা যায়। এই অদ্ভুত দোকানটায় যেয়ে নাহয় কিছু কিনলাম না। দাম লেখা আছে, পণ্য আছে অথচ কিনতে পারবো না। এটাওতো একটা অদ্ভুত অনুভূতি সঞ্চার করছে। এই নো-সেল থেরাপি শপ থেকে নাহয় একটু মেমোরি থেরাপি নিয়েই ফিরলাম!