দক্ষিণ এশিয়ার সাঁতারুদের মধ্যে প্রথম ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার কীর্তি বাংলাদেশের ব্রজেন দাসের। ১৯৫৮ সালে তার এই অর্জন দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। স্বাধীনতার পর সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে মোশারফ হোসেন খান ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেও বিগত প্রায় ৩৬ বছর আর নতুন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর মাহফুজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল নামের দুই বাংলাদেশি জাতীয় সাঁতারু আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম কঠিন ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারে পাড়ি দেওয়ার জন্য। এজন্য প্রায় সমস্ত খরচ বহন করছেন সাঁতারুরা নিজেরাই।
এই দুইজন জাতীয় সাঁতারু বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এর মধ্যে একজন দুইবার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কঠিন ও বিপদজনক—ঠান্ডা পানি, শক্তিশালী স্রোত, এবং জলযানের কারণে এটি সাঁতারুদের জন্য শারীরিক ও মানসিক বড় পরীক্ষা।
এই কঠিন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা সাঁতারুদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ সেশন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ এবং মানসিক উৎসাহ দেওয়া পর্যন্ত সবকিছুতে সহায়তা দিতে চান তাঁরা। এছাড়াও ইউকেতে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং ও আতিথেয়তা প্রদান করছে, যা সাঁতারুদের জন্য এক বিরাট সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে লন্ডনের কিছু সামাজিক সংগঠন এবং কমিউনিটি সেন্টার এই উদ্যোগে এগিয়ে এসে থাকার জায়গা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এই অভিযান সফল হলে এটি হবে বাংলাদেশের জন্য গৌরবের এক নতুন অধ্যায়।